শিক্ষাই মুসলিম সমাজের উন্নতি এনে দিতে পারে

0

মুসলমানদের উন্নতির জন্য বাইরের কোন সাহায্যের প্রয়োজন নেই। কেবলমাত্র পশ্চিম বাংলার মুসলমানদের জনসংখ্যা হল প্রায় 3 কোটি ৷ 3 কোটির মধ্যে প্রায় 1 কোটি হল 18 বছরের নিচে অর্থাৎ শিশু ৷

বাকী 2 কোটির মধ্যে 1 কোটি হল নারী বা মহিলা ৷ 3 কোটির মধ্যে থেকে 2 কোটি বাদ দেওয়ার পর অবশিষ্ট রইল পূর্ণ বয়স্ক সক্ষম পুরুষ 1 কোটি ৷

এই 1 কোটি পূর্ণবয়স্ক সক্ষম বা উপার্জনশীল পুরুষরা যদি কুরআন, হাদীস এবং বুদ্ধীদীপ্ত মানুষদের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ সমাজের কল্যাণ সাধনের লক্ষে প্রতি মাসে একটা ন্যুনতম টাকা দান করতে সক্ষম ও সম্মত হয় তাহলে মুসলমান সমাজের মধ্যে উন্নতির জোয়ার বয়ে যাবে, এতে কোন সন্দেহ নেই ৷

উদাহরণ স্বরূপ একটা হিসাব দেওয়া যাক ৷ এই 1 কোটি মানুষরা প্রতি মাসে যদি মাত্র 10 টাকা করে দান করে তাহলে প্রতি মাসে জমা হবে 10 কোটি টাকা ৷ প্রতি বছরে জমা হবে 120 কোটি টাকা ৷

আর এই 120 কোটি টাকা খরচ করা হবে শুধুমাত্র মুসলমান সমাজের অন্তর্গত গরীব ও অসহায়দের সন্তানদের শিশুদের
শিক্ষারকাজে ৷

শিক্ষা সর্বদেশে এবং সর্বযুগে ব্যয়বহুল ৷ সেজন্য টাকার অভাবে অসহায়- গরীবরা শিক্ষা অর্জন করতে পারেনা ৷

শুধু মাসে 10 টাকাই বা কেন আরো অনেক কিছু আছে ৷যেমন জাকাত, ফিতরা, দান, সদকা, কোরবানীর চামড়ার মূল্য ও বিশেষ বিশেষ দান৷ আমি একথা দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি যে, সমাজের স্বচ্ছল-উচ্চবিত্ত-ধনী লোকেরা যখন দেখবে যে শুধুমাত্র গরীবদের দেওয়া টাকাই কোটি কোটি জমা হচ্ছে এবং সেই টাকায় গরীব ছেলেমেয়েদের শিক্ষা
দেওয়া হচ্ছে, গরীব ছাত্র/ছাত্রীদের খাওয়ার ব্যবস্হা হচ্ছে, তাদের জন্য বিল্ডিং করা হচ্ছে তখন ধনী লোকেরা ও সমাজসেবায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এক একজন ধনী হাজার হাজার বা লক্ষ্য. লক্ষ্য টাকা দান করবে একথা পৃথিবীর ইতিহাসে বহুবার প্রমাণিত হয়েছে ৷

এই সমস্ত অসহায় গরীবদের সন্তানরা সমাজের সহযোগিতায় লেখাপড়া শিখে সামাজিক হয়ে, সচেতন হয়ে, ভদ্র-সভ্য ও সুনাগরিক হয়ে আত্মসম্মানের সঙ্গে জীবন যাপন করবে ৷এটাই হল সমাজসেবা এবং উন্নত সমাজের পূর্ব প্রস্তুতি ৷

আসুন আমরা সমাজ সেবার কাজে অগ্রসর হই

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)