আসছি যে "রাজনীতি ভালো জিনিস নয় ৷" আরো শুনেছি যে "রাজনীতি গরীবদের জন্য নয় " ৷ "ভালো মানুষ, সৎ লোক, ঈমানদার লোকদের জন্য রাজনীতি একেবারেই বেমানান "৷ রাজনীতি সম্পর্কে এই যে সব প্রচার বা অপপ্রচার এগুলো সঠিক না বেঠিক, সত্য না মিথ্যা এ সবের মূল্যায়ণ কিভাবে করা যাবে ?
✒রাজনীতির বইপত্র পড়ে বা রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়ে যা জানা যায় তা হল— " মানব জাতির সেবা করার জন্য যে ব্যবস্থাপনা বা যে নীতি অবলম্বন করা হয় তার নাম হল রাজনীতি ৷" "রাজ্য বা দেশ এবং দেশবাসীর বা প্রজা সাধারণের উন্নয়ণের উদ্দেশ্যে রাজা যেভাবে রাজ্য শাসন করে সেই নীতিকেই রাজনীতি বলা হয় "৷ বিশেষ করে গরীব, দু:খী, অসুস্থ, অকর্মণ্য, অশিক্ষিত, পঙ্গু, পরনির্ভরশীল ও অসহায় - মানুষদের উন্নয়ণ ও স্থায়ীভাবে কল্যাণ করার সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা একমাত্র রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেই করতে পারে ৷ দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি, তথ্য ও পরামর্শগুলোকে যদি বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে উপরোক্ত প্রচার বা অপপ্রচারগুলো যে অন্তসারশূন্য তা বুঝতে কোন অসুবিধা নেই ৷
✒রাজনীতি সম্পর্কিত বইপত্র পড়ে আমার বার বার মনে হয়েছে যে, রাজনীতি করার জন্য এমন শত শত বা সহস্র সহস্র লোক প্রয়োজন যারা রাজনীতি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করবে এবং সমাজের অসহায় ও পরনির্ভরশীল মানুষদের সাহায্য- সহযোগিতা ও উদ্ধারের জন্য দৃঢ়ভাবে কাজ করবে ৷ ঐ রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মীদের কয়েকটি মূল্যবান গুণাবলী অবশ্যই থাকতে হবে ৷
যেমন—
"(ক) প্রতিটি কর্মীকে যথেষ্ট জ্ঞান বা যথাযথ জ্ঞানসঞ্চয় করে গভীর জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে ৷
(খ) প্রতিটি কর্মীকে সৎ এবং চরিত্রবান হতে হবে ৷
(গ) প্রতিটি কর্মীকে পরোপকারী মনোভাবাপন্ন হতে হবে ৷
(ঘ) প্রতিটি কর্মীকে ধৈর্যশীল হতে হবে ৷
(ঙ) প্রতিটি কর্মীকে ব্যক্তিগত স্বার্থ বা পারিবারিক স্বার্থ অপেক্ষা সামাজিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে ৷
(চ) প্রতিটি কর্মীকে স্বাধীনচেতা, যুক্তিবাদী ও দৃঢ় মনের অধিকারী হতে হবে ৷
(ছ) এই সমস্ত কর্মী বাহিনীকে একটি সুসংগঠিত দলের আওতায় একটি বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে সমস্ত কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে ৷
এছাড়া আরো যত বেশী সম্ভব বহুগুণের অধিকারী হতে পারলে তবেই রাজনীতির মাধ্যমে মানব সমাজের উন্নয়ণ ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হতে পারে ৷"
রাজনীতির প্রধান উদ্দেশ্য— "মানুষের কল্যাণে একদল মানবতাবাদী প্রাণ, একদল মানবহিতৈষী, সমাজসেবী ও মানব প্রেমী কর্মী বাহিনী গণতাণ্ত্রিক ও সাংবিধানিক পন্থা অনুসরণ করে রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভ করবে এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের লিখিত থিওরী মানব কল্যাণে কার্যকর করবে ৷ একাজে ধনী বা গরীবের মধ্যে পার্থক্য করার কোন প্রয়োজন নেই ৷ বরং আমার নিজের ধারণা -রাজনীতির কল্যাণকারীতাকে কার্যকর করতে ধনী অপেক্ষা গরীবকেই বেশী উৎসাহী বা অগ্রসর হওয়াই যুক্তিযুক্ত এবং অধিক ফলপ্রদ ৷
✒কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখতে পায় যে, (ক) রাজনীতির ময়দানে যারা বেশী উৎসাহী, যারা বেশী সক্রিয়, যারা বংশ পরম্পরায় রাজনীতি নিয়েই থাকতে অভ্যস্ত তাদের মধ্যে শতকরা 99 % লোক ধনী বা পুঁজীপতি ৷ (খ) যারা রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মী তাদের মধ্যে শতকরা 90 % লোক দায়িত্বশীল নয়, চরিত্রবান নয়, পরোপকারী মনোভাবের নয়, জনকল্যাণে আগ্রহী নয় বরং ব্যক্তিস্বার্থে বা পারিবারিক স্বার্থে বা গোষ্ঠী স্বার্থে আগ্রহী ৷ (গ) বর্তমান রাজনৈতিক দলের কর্মীদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ গঠনমূলক কাজে উৎসাহী নয় বরং ধ্বংসমূলক কাজে অতি উৎসাহী ৷ (ঘ) বর্তমান রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মীদের মধ্যে বহু সংখ্যক কর্মীদেরই রাজনীতি সম্পর্কেই স্পষ্ট ধারণা নেই ৷ তাই আজকের রাজনৈতিক আন্দোলনের দ্বারা মানব কল্যাণ বা সমাজ কল্যাণ হচ্ছেনা ৷ বর্তমানে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের অধিকাংশ নেতা এবং কর্মীদের বৈশিষ্ট হল তারা রাজনীতি করাটাকে জনসেবা বা সমাজসেবা হিসাবে গ্রহণ করেনি বরং তারা জনগণকে শাসন করবে, শোষণ করবে এবং জনগণের সম্পদ লুটেপুটে খাবে ৷ তাদের কাজকর্ম, স্বভাব চরিত্র দেখলে মনে হয় যে তাদেরM জন্মটাই হয়েছে শুধু মানুষের সর্বনাশ করতে বা মানবতার ক্ষতি সাধন করতে ৷
✒আমার উপরোক্ত মতামতগুলো যদি কারো সঠিক মনে হয় তাদের নিকট অনুরোধ করছি যে—তারা যেন এই রাজনীতির ঘুর্ণাবর্তে পড়ে যে সমস্ত অসহায় মানুষ চরম বিভ্রান্তি , জুলুম, নির্যাতন দু:খ- দুর্দশা ভোগ করছে তাদেরকে জালেম, অত্যচারী, সমাজবিরোধী, গণতণ্ত্রবিরোধী ও মানবতাবিরোধীদের কবল থেকে মুক্ত করার জন্য সত্য সত্যই কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয় তা নির্ধারণ করা এবং যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যে কোন মানবতাবাদী, দেশপ্রেমিক, মনবহিতৈষী ও সমাজ সচেতন ব্যক্তির পক্ষে অপরিহার্য ৷ রাজনীতির মোকাবেলায় রাজনীতি, রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ণের মোকাবেলায় সঠিক-সুচিন্তিত-সুপরিকল্পিত-সুনিয়োজিত-বিজ্ঞানসম্মত ও ন্যায় সম্মত রাজনীতি ব্যতীত এর কোন বিকল্প নেই ৷ আমার মতে আধুনিক যুগে রাজনীতির মাধ্যম ছাড়া সমাজের এক নয়া পয়সাও উন্নতি, প্রগতি,সংস্কার করা মোটেই সম্ভব নয় ৷
????????????????????
✒রাজনীতির বইপত্র পড়ে বা রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়ে যা জানা যায় তা হল— " মানব জাতির সেবা করার জন্য যে ব্যবস্থাপনা বা যে নীতি অবলম্বন করা হয় তার নাম হল রাজনীতি ৷" "রাজ্য বা দেশ এবং দেশবাসীর বা প্রজা সাধারণের উন্নয়ণের উদ্দেশ্যে রাজা যেভাবে রাজ্য শাসন করে সেই নীতিকেই রাজনীতি বলা হয় "৷ বিশেষ করে গরীব, দু:খী, অসুস্থ, অকর্মণ্য, অশিক্ষিত, পঙ্গু, পরনির্ভরশীল ও অসহায় - মানুষদের উন্নয়ণ ও স্থায়ীভাবে কল্যাণ করার সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা একমাত্র রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেই করতে পারে ৷ দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি, তথ্য ও পরামর্শগুলোকে যদি বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে উপরোক্ত প্রচার বা অপপ্রচারগুলো যে অন্তসারশূন্য তা বুঝতে কোন অসুবিধা নেই ৷
✒রাজনীতি সম্পর্কিত বইপত্র পড়ে আমার বার বার মনে হয়েছে যে, রাজনীতি করার জন্য এমন শত শত বা সহস্র সহস্র লোক প্রয়োজন যারা রাজনীতি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করবে এবং সমাজের অসহায় ও পরনির্ভরশীল মানুষদের সাহায্য- সহযোগিতা ও উদ্ধারের জন্য দৃঢ়ভাবে কাজ করবে ৷ ঐ রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মীদের কয়েকটি মূল্যবান গুণাবলী অবশ্যই থাকতে হবে ৷
যেমন—
"(ক) প্রতিটি কর্মীকে যথেষ্ট জ্ঞান বা যথাযথ জ্ঞানসঞ্চয় করে গভীর জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে ৷
(খ) প্রতিটি কর্মীকে সৎ এবং চরিত্রবান হতে হবে ৷
(গ) প্রতিটি কর্মীকে পরোপকারী মনোভাবাপন্ন হতে হবে ৷
(ঘ) প্রতিটি কর্মীকে ধৈর্যশীল হতে হবে ৷
(ঙ) প্রতিটি কর্মীকে ব্যক্তিগত স্বার্থ বা পারিবারিক স্বার্থ অপেক্ষা সামাজিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে ৷
(চ) প্রতিটি কর্মীকে স্বাধীনচেতা, যুক্তিবাদী ও দৃঢ় মনের অধিকারী হতে হবে ৷
(ছ) এই সমস্ত কর্মী বাহিনীকে একটি সুসংগঠিত দলের আওতায় একটি বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে সমস্ত কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে ৷
এছাড়া আরো যত বেশী সম্ভব বহুগুণের অধিকারী হতে পারলে তবেই রাজনীতির মাধ্যমে মানব সমাজের উন্নয়ণ ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হতে পারে ৷"
রাজনীতির প্রধান উদ্দেশ্য— "মানুষের কল্যাণে একদল মানবতাবাদী প্রাণ, একদল মানবহিতৈষী, সমাজসেবী ও মানব প্রেমী কর্মী বাহিনী গণতাণ্ত্রিক ও সাংবিধানিক পন্থা অনুসরণ করে রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভ করবে এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের লিখিত থিওরী মানব কল্যাণে কার্যকর করবে ৷ একাজে ধনী বা গরীবের মধ্যে পার্থক্য করার কোন প্রয়োজন নেই ৷ বরং আমার নিজের ধারণা -রাজনীতির কল্যাণকারীতাকে কার্যকর করতে ধনী অপেক্ষা গরীবকেই বেশী উৎসাহী বা অগ্রসর হওয়াই যুক্তিযুক্ত এবং অধিক ফলপ্রদ ৷
✒কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখতে পায় যে, (ক) রাজনীতির ময়দানে যারা বেশী উৎসাহী, যারা বেশী সক্রিয়, যারা বংশ পরম্পরায় রাজনীতি নিয়েই থাকতে অভ্যস্ত তাদের মধ্যে শতকরা 99 % লোক ধনী বা পুঁজীপতি ৷ (খ) যারা রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মী তাদের মধ্যে শতকরা 90 % লোক দায়িত্বশীল নয়, চরিত্রবান নয়, পরোপকারী মনোভাবের নয়, জনকল্যাণে আগ্রহী নয় বরং ব্যক্তিস্বার্থে বা পারিবারিক স্বার্থে বা গোষ্ঠী স্বার্থে আগ্রহী ৷ (গ) বর্তমান রাজনৈতিক দলের কর্মীদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ গঠনমূলক কাজে উৎসাহী নয় বরং ধ্বংসমূলক কাজে অতি উৎসাহী ৷ (ঘ) বর্তমান রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মীদের মধ্যে বহু সংখ্যক কর্মীদেরই রাজনীতি সম্পর্কেই স্পষ্ট ধারণা নেই ৷ তাই আজকের রাজনৈতিক আন্দোলনের দ্বারা মানব কল্যাণ বা সমাজ কল্যাণ হচ্ছেনা ৷ বর্তমানে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের অধিকাংশ নেতা এবং কর্মীদের বৈশিষ্ট হল তারা রাজনীতি করাটাকে জনসেবা বা সমাজসেবা হিসাবে গ্রহণ করেনি বরং তারা জনগণকে শাসন করবে, শোষণ করবে এবং জনগণের সম্পদ লুটেপুটে খাবে ৷ তাদের কাজকর্ম, স্বভাব চরিত্র দেখলে মনে হয় যে তাদেরM জন্মটাই হয়েছে শুধু মানুষের সর্বনাশ করতে বা মানবতার ক্ষতি সাধন করতে ৷
✒আমার উপরোক্ত মতামতগুলো যদি কারো সঠিক মনে হয় তাদের নিকট অনুরোধ করছি যে—তারা যেন এই রাজনীতির ঘুর্ণাবর্তে পড়ে যে সমস্ত অসহায় মানুষ চরম বিভ্রান্তি , জুলুম, নির্যাতন দু:খ- দুর্দশা ভোগ করছে তাদেরকে জালেম, অত্যচারী, সমাজবিরোধী, গণতণ্ত্রবিরোধী ও মানবতাবিরোধীদের কবল থেকে মুক্ত করার জন্য সত্য সত্যই কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয় তা নির্ধারণ করা এবং যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যে কোন মানবতাবাদী, দেশপ্রেমিক, মনবহিতৈষী ও সমাজ সচেতন ব্যক্তির পক্ষে অপরিহার্য ৷ রাজনীতির মোকাবেলায় রাজনীতি, রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ণের মোকাবেলায় সঠিক-সুচিন্তিত-সুপরিকল্পিত-সুনিয়োজিত-বিজ্ঞানসম্মত ও ন্যায় সম্মত রাজনীতি ব্যতীত এর কোন বিকল্প নেই ৷ আমার মতে আধুনিক যুগে রাজনীতির মাধ্যম ছাড়া সমাজের এক নয়া পয়সাও উন্নতি, প্রগতি,সংস্কার করা মোটেই সম্ভব নয় ৷
????????????????????